জীবনে সফল হওয়ার জন্য ৭টি উপায় জেনে নিন

জীবনে সফল হতে কি দরকার চলুন জেনে নেই

আমরা সবাই সফল হতে চাই এবং জীবনে শান্তিতে থাকতে চাই উন্নত জীবনযাপন পরিচালনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনই ভিন্ন। তাই একই পথে হাঁটলে সবাই সফল হবে কি না, তা আমরা বুঝে উঠতে পারি না। কিন্তু সফল মানুষদের সাথে কিছু মিল লক্ষ্য করা যায়। তাদের কাজ, জীবনযাপন, চিন্তাধারায় মিল পাওয়া যায় অনেকটাই। কিছু গুরুপ্তপূর্ন অভ্যাস আছে যেগুলো তারা মেনে চলেন এবং সেগুলো তাদের জন্য কার্যকরী হয়েছে। যদিও এমন অনেক অভ্যাস রয়েছে যেগুলো মানুষকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে, সেগুলোর মধ্য থেকে আসুন জেনে নেই সফল হওয়ার জন্য তাদের ৭ অভ্যাস সম্পর্কে-

লক্ষ্য নির্ধারণ

সফল ব্যক্তিরা অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। তারা যা অর্জন করতে চায় তা কল্পনা করে এবং তাকে ছোট, পরিচালনাযোগ্য উদ্দেশ্য অনুসারে বিভক্ত করে। এই লক্ষ্যগুলো তাদের জন্য একটি রোডম্যাপের মতো যা দিকনির্দেশ এবং অনুপ্রেরণা দেয়। ‘আপনি কতদূর পড়েছেন তা নয়, আপনি কতটা উঁচুতে বাউন্স করেছেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’- জিগ জিগলার।

সময় ব্যবস্থাপনা

সফল মানুষের জন্য সময় খুবই মূল্যবান। তারা কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়, প্রয়োজনে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছেড়ে দেয় এবং সময় নষ্ট করা কার্যকলাপ এড়িয়ে যায়। কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনার কারণে তারা প্রতিটি দিনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে। ‘আমাদের সময়কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, পালঙ্ক হিসেবে নয়।’- জন এফ. কেনেডি

নিরবচ্ছিন্নভাবে শিখতে থাকা

সফল মানুষরা সারাজীবন শিক্ষা অর্জন করে। যেগুলো তাদের উন্নত করতে সহযোগীতা করে। তারা অনুভব করতে পারেন যে জ্ঞানই মূল শক্তি এবং নতুন দক্ষতা ও তথ্য অর্জন করতে থাকে। এই আশ্চর্যজনক অভ্যাস তাদের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে আরও উদ্ভাবনী এবং মানানসই করে তোলে। ‘জীবন একটি পরীক্ষা যেখানে সিলেবাস অজানা এবং প্রশ্নপত্র সেট করা হয় না বা মডেল উত্তরপত্র নেই।’- সুধা মূর্তি

অধ্যবসায়

জীবন ফুলশয্যা নয়। জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে এবং শতবাধা ও চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি থাকতে হবে। সবচেয়ে সফল মানুষরা স্থিতিস্থাপক; তারা ব্যর্থতা এবং বাধা থেকে ঘুরে দাঁরাতে জানে। তারা বাধাকে বড় হওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ‘লোহাকে কেউ ধ্বংস করতে পারে না, কিন্তু তার নিজের মরিচাই ধ্বংস করতে পারে। একইভাবে, কেউ মানুষকে ধ্বংস করতে পারে না কিন্তু তার নিজের মানসিকতাই পারে।’- রতন টাটা।

নেটওয়ার্কিং

সাফল্যের জগতে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করা এবং বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সফল ব্যক্তিরা নেটওয়ার্কিংয়ের শক্তি বোঝেন। তারা পেশাদার সম্পর্ক লালন করতে এবং সহযোগিতা, পরামর্শদাতা এবং সমর্থন খোঁজার জন্য সময় বিনিয়োগ করে। যদি তুমি স্বপ্ন দেখতে জানো তাহলে তুমি সেই স্বপ্ন পূরন করতে পারবে।ওয়াল্ট ডিজনি

স্বাস্থ্য এবং ভালোথাকা

সফল ব্যক্তিরা তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেন। কারণ সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতা না থাকলে আপনি সফল হতে পারবেন না। সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরা তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেন। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম তাদের দৈনন্দিন রুটিনের গুরুপ্তপূর্ন উপাদান। ‘আপনার সময় খুবই অল্প,অন্য ব্যক্তির জীবন যাপনের জন্য এটিকে নষ্ট করবেন না।’- স্টিভ জবস

পরোপকারী

অনেক সফল ব্যক্তি পরোপকারী এবং সমাজকে ফিরিয়ে দিতে বিশ্বাসী। তারা তাদের বিশেষাধিকার জানে এবং বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে তাদের সাফল্যকে ব্যবহার করে। এর ভেতরে দাতব্য দান, পরামর্শদান বা সম্প্রদায়ের উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা জড়িত থাকতে পারে। ‘আপনি যদি আপনার যা কিছু আছে সব ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক হন তবে আপনি যা চান তা পেতে পারেন।’- অপরাহ উইনফ্রে

আরো পড়ুন: IELTS শিক্ষা কি, IELTS ভর্তি ও পরিক্ষা ফ্রি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

Leave a Comment