১৮তম নিবন্ধন সার্কুলার পিএসসি: ২০২৩ সালের শিক্ষক নিবন্ধন সম্পর্কে সবকিছু জানুন | ১৮তম নিবন্ধন সার্কুলার পিএসসি ২০২৩ সালের শিক্ষক নিবন্ধন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এই নিবন্ধে, আপনি শিক্ষক নিবন্ধন কী, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে আবেদন করবেন এবং আরও অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন।
১৮তম নিবন্ধন সার্কুলার পিএসসি
শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার এমন একটি সরकारी নথি যা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যাবতীয় বিষয়াবলী বর্ণনা করে। এই সার্কুলারে পরীক্ষার তারিখ, সময়সূচী, বিষয়, ফি, আবেদন পদ্ধতি, যোগ্যতার মানদণ্ড, মূল্যায়ন পদ্ধতি, ফলাফল প্রকাশের সময়সূচী, প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তির পদ্ধতি, ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
১৮তম নিবন্ধন সার্কুলার পিএসসি ২০২৩ সালের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এই সার্কুলারে পরীক্ষার তারিখ, সময়সূচী, বিষয়, ফি, আবেদন পদ্ধতি, যোগ্যতার মানদণ্ড, মূল্যায়ন পদ্ধতি, ফলাফল প্রকাশের সময়সূচী, প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তির পদ্ধতি, ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শিক্ষক নিবন্ধন কী?
শিক্ষক নিবন্ধন হলো বাংলাদেশে শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষকদের তাদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রমাণ করতে হয়। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে শিক্ষকদের একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়, যা তাদের শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের সুযোগ দেয়।
শিক্ষক নিবন্ধন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শিক্ষক নিবন্ধন গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শিক্ষকদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার একটি গ্যারান্টি প্রদান করে। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য শিক্ষকদের শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়, যেমন শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষাক্রম, শ্রেণী ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়।
এছাড়াও, শিক্ষকদের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শিক্ষকদের এই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার তারিখ কবে?
১৮তম নিবন্ধন সার্কুলার পিএসসি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সাল
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিষয়
১৮তম নিবন্ধন সার্কুলার পিএসসি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি থাকবে:
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
- ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য
- গণিত
- বিজ্ঞান
- সামাজিক বিজ্ঞান
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফি
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফি ৩৫০ টাকা।
এই ফি টেলিটক মোবাইল থেকে অনলাইনে জমা দিতে হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন পদ্ধতি
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
- এনটিআরসিএ-এর ওয়েবসাইটে (www.ntrca.gov.bd) যান।
- “শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা” লিংকে ক্লিক করুন।
- “নতুন আবেদন” লিংকে ক্লিক করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করুন।
- আবেদনপত্র জমা দিন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতার মানদণ্ড
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের
নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে:
- কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ বা এর সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০। প্রতিটি বিষয়ে ২০ নম্বর করে মোট ৬০ নম্বরের MCQ পরীক্ষা হবে।
MCQ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময়সূচী
১৮তম নিবন্ধন সার্কুলার পিএসসি অনুযায়ী,
২০২৩ সালের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ হলো ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস।
শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তির পদ্ধতি
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাদের প্রত্যয়নপত্র এনটিআরসিএ-এর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
এছাড়াও, প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহের জন্য প্রার্থীদের এনটিআরসিএ-এর অফিসে উপস্থিত হতে হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখবেন:
- শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষাক্রম, শ্রেণী ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি বিষয়ে ভালো ধারণা অর্জন করুন।
- শিক্ষকতা পেশার প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা থাকতে হবে।
- নিয়মিত পড়াশোনা ও অনুশীলন করুন।
FAQs
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কী সুবিধা পাওয়া যায়?
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে
নিম্নলিখিত সুবিধা পাওয়া যায়:
- সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাওয়ার সুযোগ।
- শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বেতন-ভাতা অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় বেশি।
- শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ বেশি।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য
নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি:
- শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষাক্রম, শ্রেণী ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি বিষয়ে ভালো ধারণা অর্জন করুন।
- শিক্ষকতা পেশার প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা থাকতে হবে।
- নিয়মিত পড়াশোনা ও অনুশীলন করুন।
শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষাক্রম, শ্রেণী ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি বিষয়ে ভালো ধারণা অর্জন
শিক্ষকতা পেশায় সফল হতে হলে শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব, শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি, শিক্ষাক্রমের বিষয়বস্তু ও পরিকল্পনা, শ্রেণী ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
এই বিষয়গুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষাক্রম, শ্রেণী ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি বিষয়ে বই পড়ুন।
- শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করুন।
- শিক্ষকতা পেশায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
শিক্ষকতা পেশার প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা থাকতে হবে
শিক্ষকতা একটি দায়িত্বশীল পেশা। এই পেশায় সফল হতে হলে শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে শেখানোর জন্য তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, তাদের উৎসাহিত করা, ইত্যাদি কাজ করতে হবে।
এই কাজগুলি করতে হলে একজন শিক্ষকের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ থাকা জরুরি।
নিয়মিত পড়াশোনা ও অনুশীলন করুন
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিয়মিত পড়াশোনা ও অনুশীলন করা জরুরি। প্রতিদিন কিছু সময় পড়াশোনা ও অনুশীলন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করুন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কিছু টিপস
- প্রথমে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস ভালোভাবে দেখে নিন।
- সিলেবাস অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশোনা করুন।
- বিগত সালের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন।
- বন্ধুবান্ধব বা সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে পড়াশোনা করুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকুন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য প্রয়োজন।
নিয়মিত পড়াশোনা ও অনুশীলন করে আপনি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন এবং একজন যোগ্য শিক্ষক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন।